বান্দরবান প্রতিনিধি ::
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা ব্র্যাক ম্যানেজার প্রদীপ কুমার চাকমা কর্তৃক অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী (১৬)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা চিকন চান কারবারি পাড়ার সুজয় চাকমার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে মাসাচিং মারমা বাড়িতে বেসরকারি সংস্থার উপজেলা ব্র্যাক অফিস হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়ে ছিল। এ সুবাদে ধর্ষক অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্রাক ম্যানেজার প্রদীপ কুমার চাকমা অফিস করতেন। এর ফলে বাড়ির পরিবেশ সব কিছু জানতেন প্রদীপ কুমার চাকমা।
গত ১৫ আগস্ট বাড়িতে ভিকটিম একজন ব্যতীত কেউ ছিলেন না। এসময় ফাঁকা ঘরে ভিকটিমও দুপুর বেলায় বাড়িতে রুমে ভিতরে খাটে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। এমন সময় ওঁৎ পেতে থাকা ধর্ষক অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্র্যাক ম্যানেজার প্রদীপ কুমার চাকমা হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর ভিকটিমকে মেরে ফেলা হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান।
রবিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিম ভয়ে মুখ খোলেনি। পরের দিন সকালে নানী সম্পর্কিত মাসাচিং মারমাকে অবহিত করেন। এরপর লোকের জানাজানি হলে ৩দিন পর (১৮ আগস্ট) ব্র্যকের কর্তৃপক্ষসহ ভিকটিমের বাবাকে নিয়ে মাসাচিং মারমা থানাতে গিয়ে অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়েকে দূর সম্পর্কে আত্নীয়ের বাড়িতে পড়ালেখা করতে রাখা হয়ে ছিল। সে রোয়াংছড়ি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়েন। ১৫ আগস্টের সরকারিভাবে জাতীয় কর্মসূচীর থাকায় বাড়ির মালিক অনুষ্ঠানের চলে যাওয়ার সময় আমার মেয়েকে একা পেয়ে নরকের কীট ওই ব্র্যাক ম্যানেজার প্রদীপ কুমার চাকমা ধর্ষণে ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই এ নর পিশাচকে প্রচলিত আইনে কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার মোা: মোশারফ বলেন, ম্যানেজার প্রদীপ কুমার চাকমার বিরুদ্ধে ধর্ষণে ঘটনা খবর পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবগত করে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তৌহিদ কবির সত্যতার নিশ্চিত বলেন, ধর্ষণে ঘটনা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। -পার্বত্যনিউজ।
পাঠকের মতামত: